মেহেদী হাসান মারুফ, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উপজেলা যুব ফোরাম, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, জলবায়ু পরিষদ ও গাবুরা ইউনিয়ন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফোরামের আয়োজনে শ্যামনগর উপজেলা বুড়িগোয়ালিনে নীলডুমুর খোলপেটুয়া নদীতে এক নৌ-বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। ০৭ ই জুন রবিবার দুপুর ১২টায়।

সংবাদ সম্মেলন পাঠ করেন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচাল মোহন কুমার মন্ডল।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এর সভপতি মোঃ ফাইমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক এস.এম আতাউল হক দোলন। অনুষ্ঠানে বক্তব রাখেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ুব (ডলি), সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড আবুল কালাম আযাদ, শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের সভাপতি অধক্ষ আশেক- ই-ইলাহী, বুড়িগোয়ালিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভতোষ কুমার মন্ডল। এ সময় আরো উপস্থতি ছিলেন জেল নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী নুুর খান বকুল, লিডর্স এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজুরুল ইসলাম সহ সাতক্ষীরা ও শ্যামনগর প্রেসক্লাবেরর কর্মরর্ত সাংবাদিক বৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে বলেন ১৯৬০ এর দশকে পূর্ব পাকিস্তান পানি ও শক্তি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়পদা) ৩৭ টি পোল্ডার ১৫৬৬ কিলোমিটার উপকুলীয় বাঁধ ও ২৮৬ টি সুইজ গেট তৈরি করে।উপকুলীয় বাঁধ এবং সুইজ গেট গুলি যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে লবন পানির অনুপ্রবেশ ঘটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ৫৫৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে।এর মধ্যে ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। পূর্বে সংগঠিত আইলায় ক্ষতিগ্রস্থ শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, পদ্মাপুকুর, বুড়িগোয়ালিন, কাশিমাড়ী, কৈখালী, ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, আনুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের জমি ও বসত ভিটা ডুবেছে লোনা জলে।

এবছর আম্ফানে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যার্থতার দায় নিতে হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের নেই কনো তহবিলও।২০০৯ সালের তুলনায় আমাদের জাতীয় বাজেট ৪ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্ত উপকুলীয় এলাকায় বসবাসরত নারীর চোখের জল শুকায়নি।সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্ব সরকারের এবং সরকার ইচ্ছা করলে তা পারেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। জতীয় সংসদের স্পীকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রীও নারী। উপকুলের নারীদের এ অমর্যাদা কর জীবন থেকে পরিত্রাণের জন্য সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপকূলবাসীর পক্ষে নিম্নের সুনির্দ্দিষ্ট দাবীসমূহ
১.জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ পুনঃনির্মন করতে হবে যার নিচে ১০০ ফুট,উপরে ৩০ ফুট এবং যার উচ্চতা হবে ৩০ ফুট।
২. বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
৩.উপকূলীয় সকল মানুষের খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

বক্তাগন বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে জন্য ৪ শত ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিয়েছেন।কিন্ত বরাদ্দকৃত টাকা শ্যামনগর ১৫ ও ৫ নং পোল্ডারের উপকূলীয় বেড়িবাঁধের জন্য না হয়ে সাতক্ষীরা ১.২.৩.৬.৯ পোল্ডার ও খাল খননের জন্য বজেট হয়েছে। আমার অচিরে পনি উন্ননয় বোর্ড সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি কামনা করছি।যাহাতে ১৫ ও ৫ নং পোল্ডারে আইলা ও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণে করে সাধারণ অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে ।

News Link: dailyagradoot.com
Update Time : June, 7, 2020