২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১০:৪৮ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৬
গাছ কেটে ন্যাড়া করে ফেলা হয়েছে পাহাড়। সম্প্রতি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে l ছবি: প্রথম আলো
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গারা প্রতিদিন প্রায় ৮০০ টন কাঠ পোড়াচ্ছে। এই কাঠ জোগাড় করতে দুটি ফুটবল মাঠের সমপরিমাণ বনভূমি উজাড় হচ্ছে। এক বছরে ওই কাঠের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় তিন লাখ টন। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্যবিষয়ক সংস্থা (এফএও) এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করাই এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ছাড়া সংক্রামক রোগের ঝুঁকি, অতি ঘনবসতি ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো উন্নয়ন, স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন সরকারি কর্মকর্তারা। বর্ষাকালে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও আছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
খুব সহজে ও শিগগির রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হবে বলে মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন না। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ করে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আমরা সফলভাবে আশ্রয় দিতে পেরেছি। তাদের বসবাসের স্থান হয়েছে। নিয়মিত খাদ্যের সংস্থান আছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিবিরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এখন প্রত্যাবাসনের অপেক্ষা।’ তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে সরকারকে। এর মধ্যে জ্বালানি সমস্যাই প্রধান। সমস্যা আরও আছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী, গত ২৫ আগস্টের পরে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৯৫০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এদের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার বনভূমিতে গড়ে তোলা শিবিরে রাখা হয়েছে। আগেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ছিল। সব মিলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে। এখনো রোহিঙ্গারা আসছে।
News Link: Prothomalo | Pdf Link