কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও বাংলা ভাষার প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই। এই দুই প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে এবার ষষ্ঠবারের মতো দেয়া হলো স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করা হয়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এবছর দুটি নতুন ক্যাটাগরিসহ সর্বমোট নয়টি ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার দেয়া হয়। আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হন পথিকৃৎ কৃষি বিজ্ঞানী কাজী পেয়ারার জনক খ্যাত ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা। এছাড়া পুরস্কার পান বছরের সেরা কৃষক (নারী) শাহিদা বেগম, বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ) সাখাওয়াৎ হোসেন, পরিবর্তনের নায়ক এরশাদ মাহমুদ, জুরি স্পেশাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান ও চট্টগ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা কোহিনুর কামাল, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি) জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান (সহযোগিতা ও বাস্তবায়ন) আরবান, সেরা কৃষি সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হিরু ও দুর্যোগ প্রতিরোধে সেরা কমিউনিটি ‘লিডার্স’।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, কোভিড-১৯ এর এই কঠিন সময়ে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে কৃষকই আমাদের দেশের প্রকৃত নায়ক। কৃষিক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রাখা সেইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানিত করতে পেরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ নিজেদেরকে ধন্য মনে করছে। করোনার সময়ে আমাদের দেশের খাদ্য নিরাপত্তা স্থিতিশীল রয়েছে, এটি অনেক বড় একটি বিষয়। এর পেছনে কৃষকের ভূমিকা অনন্য। চ্যানেল আই এর সঙ্গে যুক্ত থেকে আমরা দেশের মূলধারার নায়কদের সম্মানিত করতে পারছি, এ জন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় উন্নয়নে কৃষকের যে অবদান, তা কোন পুরস্কার বা পদক দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। তারপরও কৃষির অব্যাহত সাফল্যকে আরো বেগবান করতে চ্যানেল আই-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে আমি মনে করি। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ কৃষকরা প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে অসামান্য সাফল্যের নজির গড়ছেন। প্রত্যেকেই বিশেষ মূল্যায়নের দাবি রাখেন। যারা অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে তাদের অনেক বড় অবদান। এই নিবেদিতপ্রাণ মানুষদে সম্মানিত করতে পেরে চ্যানেল আই আনন্দিত।
শতাধিক আবেদনের ভেতর থেকে বাছাই শেষে জুরি বোর্ড উল্লেখিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেন। জুরি বোর্ডে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শহিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, ডব্লিউ এফ পি’র প্রোগ্রাম হেড রেজাউল করীম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও এসিআই এ্যাগ্রোলিংক এর প্রধান নির্বাহী ড. এফ এইচ আনসারি।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা কৃষিমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। নয়টির মধ্যে সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের অর্থ হিসেবে সর্বমোট ২২ লাখ টাকা প্রধান করা হয়।
News Link: channelionline.com