অনলাইন ডেস্ক :: প্রথমে রাজধানীকেন্দ্রিক হলেও ধাপে ধাপে বিস্তার ঘটিয়ে ডেঙ্গু এখন দেশে ৫০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সোমবার জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগের রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ি, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছরি ও রাঙামাটি, খুলনা বিভাগের খুলনা জেলা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর, রংপুর বিভাগের রংপুর জেলা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারি, দিানাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও, বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলা, পটুয়াখালী, ভোলা,পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এবং সিলেট জেলায় ডেঙ্গুর ছড়িয়ে পড়েছে। এই জেলাগুলো এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৩ জন রোগী পাওয়া গেছে।
এদিকে গত চব্বিশ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার ১ হাজার ৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিনের হিসেবে গত ১৯ বছরের মধ্যে এটি একদিনের আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা। চলতি মাসে সোমবার পর্যন্ত ১১ হাজার ৪৫০ জন আক্রান্ত হয়েছে। মাসের হিসেবে এটিও রেডর্ক। অর্থাৎ এক মাসে এতো সংখ্যক আর আক্রান্ত হয়নি। সব মিলে চলতি বছর আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। এটিও ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। রাজধানীতে সরকারি ১৩টি ও বেসরকারি ৩৬ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তালিকা ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আক্রান্তের এই সংখ্যা নির্ধারণ করে। কিন্তু এই হিসেবের বাইরে রাজধানীতে আরও প্রায় সাড়ে তিনশ’ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক রয়েছে এবং সেগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকায় সেই রোগীর হিসাব নেই।