উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুপেয় খাবার পানির নিশ্চয়তার দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানিতে ভেসে নৌ-বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ।
রোববার (৭ জুন) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আম্পান উপদ্রব এলাকা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর নদীর ঘাটের পশ্চিমে পূর্ব দুর্গাবাটি গ্রামের পাশে খোলপেটুয়া নদীতে সকাল ১০টা থেকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জলবায়ু পরিষদ, শ্যামনগর উপজেলা যুবফোরাম, গাবুরা ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফোরাম, সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটি ও সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ আয়োজিত এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান জলবায়ু পরিষদের নেতা ও বেসরকারি সংস্থা লিডার্সসের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।
মোহন কুমার আরও বলেন, উপকূলীয় এলাকায় লবণ পানিতে চিংড়ি চাষের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি সুপেয় পানির সংকট উত্তরণে সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। এখনো উপকূলীয় এলাকায় একজন নারীকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। সুপেয় পানি প্রাপ্তির জন্য এনজিওর ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাই এই দূরাবস্থার পরিবর্তনে নৌ-বন্ধনের মতো অভিনব কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মোহন কুমার আরও বলেন, উপকুলীয় এলাকায় লবণ পানিতে চিংড়ি চাষের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি সুপেয় পানির সংকট উত্তরণে সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নেয়নি। এখনো উপকূলীয় এলাকায় একজন নারীকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। সুপেয় পানি প্রাপ্তির জন্য এনজিও’র ত্রাণের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাই এই দুরাবস্থার পরিবর্তনে নৌ-বন্ধনের মতো অভিনব কর্মসূচি পালিত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় নদ-নদীর অন্তত ২০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে ৫০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার ঘর-বাড়ি, ভেসে যায় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ। বিনষ্ট হয় উপকূলের মানুষের খাওয়ার পানির আধার।
ঘূর্ণিঝড় উপদ্রব এলাকায় চরম খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত রোগ। ভেসে গেছে ল্যাট্রিন। কোথাও কোথাও রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো সম্ভব হলেও এখনো অনেক জায়গায় প্রতিদিন দু’বার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপকূলের মানুষের দুর্দশা চরম আকার ধারণ করেছে।
Nwes Link: somoynews.tv
Video LinK: ব্যতিক্রমী নৌকা-বন্ধন করে প্রতিবাদ
আপডেট: ০৭-০৬-২০২০