৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০৪:৪০ | পড়া যাবে ২ মিনিটে | ছবি: কালের কণ্ঠ
উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে পরিবার ভিত্তিক বায়োস্যান্ড ফিল্টার বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স মিলনায়তনে এই বায়োস্যান্ড ফিল্টার বিতরণ করা হয়।
আমেরিকার দাতা সংস্থা ও হরিজন’র আর্থিক সহায়তায় লিডার্স আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রনজিৎ বর্মন। বক্তৃতা করেন সংস্থার প্রোগাম ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী অসিত মন্ডল ও প্রকল্প কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বায়োস্যান্ড ফিল্টার এমন একটি পরিবার ভিত্তিক পানি বিশুদ্ধ করণ প্রযুক্তি যেখানে যেকোন মিষ্টি পানির উৎস থেকে পানি দিলে সে পানি প্রায় একশো ভাগ বিশুদ্ধ করে দেয়। একটি ফিল্টার থেকে দৈনিক ৬০ লিটার পর্যন্ত পানি সংগ্রহ করা যায়। এই ফিল্টারে ৪টি স্তর থাকে। প্রথম স্তর ১/২ ইঞ্চি পাথর, দ্বিতীয় স্তর ১/৪ ইঞ্চি পাথর, তৃতীয় স্তর বালি ও চতুর্থ স্তরে বায়ো লেয়ার।
আরো বলা হয়, লিডার্স ২০১৩ সাল থেকে এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। লিডার্স এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২০০ পরিবারে বায়োস্যান্ড ফিল্টার বিতরণ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে দুই লক্ষ পরিবারের মাঝে এই ফিল্টার বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি লবণ থাকায় খাবার পানির জন্য ভূ-উপরিভাগের পানির উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভূ-উপরিভাগের পানির একমাত্র উৎস হলো বৃষ্টির পানি। বৃষ্টির পানি ভূ-উপরিভাগে আসার পর বিভিন্নভাবে দূষিত হয়।
তারা আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে মানুষ সুপেয় খাবার পানির সংকটে পড়ছে। কমিউিনিটি ভিত্তিক অনেক টেকনোলজি আছে সেগুলি রক্ষাণাবেক্ষণ না করার কারণে অকোজো হয়ে পড়েছে। পরিবার ভিত্তিক পানি বিশুদ্ধ করণ প্রযুক্তি বায়োস্যান্ড ফিল্টার রক্ষাণাবেক্ষণ খুবই সহজ। যা নিয়ম কানুন মেনে ব্যবহার করতে পারলে উপকূলীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠী সুপেয় পানির কষ্ট হতে মুক্তি পাবে।