খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ঘড়িলাল বাজার সংলগ্ন মাঠে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরাম আয়োজিত উদ্ভাবনী কৃষি মেলা ২০২২ আয়োজন করা হয়েছে।

বিকাল ৪:০০ ঘটিকায় উক্ত উদ্ভাবনী কুষি মেলায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোড়ল আছের আলী, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেশ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান, কয়রা উপজেলায় সুন্দরবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম, আরও উপস্থিত ছিলেন কয়রা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. এম হারুন-অর-রশিদ, মেলা উদযাপন কমিটিরি সভাপতি ও ইউপি সদস্য জি. এম দিদারুল আলম, লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, বৈজ্ঞানীক সহকারী ও ফোরামের সদস্য জাহিদ হাসান, ফোরামের সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নিলীমা চক্রবর্তী, কয়রা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও ফোরামের সদস্য শাহজাহান সিরাজ, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন জলবায়ু সহনশীল ফোরামের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম গাজী প্রমূখ।

উপকূলীয় এলাকায় টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা ও কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই উদ্ভাবনী কৃষি মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলায় স্থানীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তির প্রদর্শণী করা হয়। প্রদর্শণী গুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ব্যবস্থাপনা, আর্থ টাওয়ার এবং ভার্টিক্যাল টাওয়ার, সমন্বিত চাষ ব্যবস্থাপনা, সর্জন পদ্ধতি, বিনা চাষে সবজি, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি, জৈব সার, কর্কশীট, ঝুড়ি এবং বালতিতে সবজি চাষ, কিচেন গার্ডেন, স্বল্প পানিতে সেচ, ইঁদুর দমন পদ্ধতি। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ বিভিন্ন স্টল ঘুরে এসব প্রদর্শণী দেখেন এবং মতামত ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, “দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের পরে কোন লবণ পানি প্রবেশ করবে না। তখন এই এলাকার মানুষ কৃষি কাজ আরও এগিয়ে নিতে পারবে। টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য একনেকে যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে তার ছাড় হলে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হবে। বেড়িবাঁধ হলে লবণ পানি প্রবেশ করবে না, ফলে কৃষকরা এসব প্রযুক্তি আারও বেশি ব্যবহার করতে পারবে। দক্ষিণ বেদকাশিতে লিডার্স যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা প্রশংসনীয়। উপজেলা কৃষি অফিসের পাশাপাশি লিডার্স যদি এমন কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে কৃষি ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী হবে। গোলখালীতে যদি পর্যটন কেন্দ্র হয় তাহলে এখানে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই এলাকার মানুষের বেকারত্ব কমে যাবে।” সবশেষে চার জন কৃষককে উদ্ভাবনী কৃষি চর্চার জন্য প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ২০,০০০ টাকা বিতরণ করা হয়।

News Link: deshtimes24.news