ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত এলাকা খুলনা ও সাতক্ষীরায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স। ত্রাণ হিসবে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
ঝড়ের দিন শুরু হওয়া এই কার্যক্রম আগামী এক মাস অব্যাহত থাকবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।আজ রবিবার (২৪ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঝড়ের পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে দাতিনাখালী ও পোড়াকাটলা গ্রামে এক হাজার লিটার খাবার পানি বিতরণ করা হয়েছে। এরপর বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নে চারটি স্থানে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নদীর বাঁধ সংস্কার কাজে কর্মরতদের মাঝে ৪০০ কেজি চিড়া, ৪০ কেজি গুড়, ১০ কেজি বাতাসা ও ৪০০ পিস খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
এরআগে ১৯ মে ঝড়ের দিন বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর ও ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া মানুষের জন্য ১৩৬ পিস বালতি, ১৩৬ পিস মগ, ১০০ পিস সাবান, ২২ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও শুকনো খাবার হিসেবে ৯৪০ কেজি চিড়া ও ১২০ কেজি গুড় পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ দেওয়া হয়।
লিডার্স’র নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল জানান, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন, আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর, আনুলিয়া ও প্রতাপনগর ইউনিয়ন এবং কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বহু ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। ওইসব পানিবন্দি মানুষের মাঝে আগামী এক মাস খাবার পানি ও শুকনো খাবার বিতরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
News Link: kalerkantho.com
২৪ মে, ২০২০ ১৪:২৯