মনিরুল ইসলাম: [২] পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৮ হাজার কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে ওই সকল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যা আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

[৩] তিনি বলেন, উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে।

মনিরুল ইসলাম: [২] পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে ৮ হাজার কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে ওই সকল প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যা আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

[৪] মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে জরুরি করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

[৫] করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সংলাপে বক্তৃতা করেন খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য মো. নবী নেওয়াজ, ডিআরইউ’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, জনউদ্যোগের তারিক হোসেন, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নৃপেন বৈদ্য, লিডার্সের সানজিদুল হাসান, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মুয়াজ প্রমূখ।

[৬] প্রধান অতিথির বক্ত্যে এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দূর্গত খুলনার ১৪ নং পোল্ডারে ৯৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ও ৩১ নং পোল্ডারে এক হাজার ২০১ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং সাতক্ষীরার ৫ নং পোল্ডারে ৩ হাজার ৬৭৪ কোটি ৩ লাখ ও ১৫ নং পোল্ডারে ৯৯৭ কোটি ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।

[৭] তিনি আরও বলেন, শুধু বেড়িবাঁধ নয়, পুরো উপকূলের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

[৮] সংলাপে সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, ঘূর্ণিঝড় দূর্গত অঞ্চলের মানুষের দাবি একটাই, ‘ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’।

[৯] সংলাপে গৃহীত সুপারিশে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যার নিচে ১০০ ফুট, উপরে ৩০ ফুট এবং যার উচ্চতা হবে ৩০ ফুট। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি উপকূলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের সুপারিশ করা হয়।

News Link: amadershomoy.com