জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, এমপি। তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে, যা এরই মধ্যে বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিশেষ করে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনসহ উপকূলীয় জনপদের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে দুর্যোগের ঝুঁকি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে (ভার্চুয়াল) অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক সংগঠন ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, মো. আক্তারুজ্জামান বাবু ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, কেএনএইচ জার্মানির মাটিলদা টিনা বৈদ্য, পার্লামেন্টনিউজের সাকিলা পারভীন, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, স্ক্যানের মনিরুজ্জামান মুকুল, সাংবাদিক পলাশ আহসান, খুলনার কয়রা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম, সাতক্ষীরার গাবুরা থেকে প্রধান শিক্ষক ইয়াশমিনুর রহমান লিংকন প্রমুখ। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।
সংলাপে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এতে প্রায় তিন কোটি মানুষ তাদের আবাসন হারানোর আশঙ্কায় আছে। অথচ এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত দেশগুলো। তাই জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।
News Link: kalerkantho.com