শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়নসহ উপকূল সুরক্ষার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) চতুর্থবারের মত ‘উপকূল দিবস’ পালিত হয় সাতক্ষীরাসহ সমগ্র উপকূল জুড়ে।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম এবং সুন্দরবন প্রেস ক্লাব এর আয়োজনে ‘উপকূল দিবস’ পালন করা হয়।

১২ই নভেম্বর ১৯৭০ সালের এই দিনে প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। নিশ্চিহ্ন হয় বহু পরিবার। অনেকে আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাই-বোন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল এ ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করে (বেসরকারী হিসাবে)। ভয়াবহ সেদিনের ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও আজও সে দুর্বিসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলের বাসিন্দাদের।
দিবসটি পালনে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম, সুন্দরবন প্রেসক্লাব এবং বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর আহ্Ÿানে উপকূলবর্তী শ্যামনগর উপজেলা সদর, মুন্সিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড ও আশাশুনিতে একই সময়ে র‌্যালী ও আলোচনার আয়োজন করা হয়।

শ্যামনগর উপজেলা সদরে উপকূল দিবস পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন ওসমান গণি সোহাগ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘১২ নভেম্বর ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলের সব কিছু তছনছ করে দেয়। লিডার্স আয়োজিত উপকূল দিবসে আমাদের আহ্বান থাকবে যাতে ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়’। এছাড়া বক্তব্য দেন যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও অন্যান্য বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রেসক্লাবসমূহ সাতক্ষীরাসহ সমগ্র উপকূল জুড়ে ‘উপকূল দিবস পালন করে।

News Link: Click Here